অর্থাৎ বর্তমান পাইস থেকে পরবর্তী পাইস ডাউন করবে কি আপ এ যাবে এই ধরণের নির্দেশনা ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে পাওয়া যায়। টেকনিক্যাল এনালাইসিসে ইন্ডিকেটর অনেক জনপ্রিয় একটি সিস্টেম।
ইন্ডিকেটর হল প্রোগ্রামিং কোডের সমন্বয়ে কিছু লজিক নিয়ে গঠিত একটি ডিরেকশন পদ্ধতি তাই যদি কখনো মার্কেট ট্রেন্ড ওই পদ্ধতির বাইরে রেয়াক্ট করে তখন আর ঐ ইন্ডিকেটরের সুফল পাওয়া যায় না,ভিন্ন রকম ইন্ডিকেটর ভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। তবে টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর জন্য ইন্ডিকেটর একটি বড় এবং মৌলিক হাতিয়ার।
ফরেক্স মার্কেটরে ডিফল্ট(ফ্রী) সহ অনেক কমার্শিয়াল ইন্ডিকেটর পাওয়া যায়। কখনো পুরোপুরি ইন্ডিকেটর নির্ভর হয়ে ট্রেড করবেন না।
মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।
মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।
মেটাট্রেডারে ডিফল্টভাবে কিছু ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে। যেমনঃ Bollinger Bands, Moving Average, parabolic Sar ইত্যাদি। এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার ইন্ডিকেটর ফ্রি পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো মেটাট্রেডারে যোগ করে নিতে পারবেন। যেকোনো ইন্ডিকেটর প্রথমে ডেমোতে টেস্ট করে দেখুন। ফলাফল ভাল লাগলে তারপর রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।
অনেক গুলো ইন্ডিকেটর একসাথে ব্যাবহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই আমি এখানে মুলত একটি ট্রেডিং ইন্ডিকেটর প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করবো আশা করছি পরবর্তীতে আপনি ও নিজে একটি সেট করে ভালো ট্রেড করবেন।
ট্রেড ওপেন করার জন্যঃ
মুভিং এভারেজ (Moving Average)
বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band)
পেরাবলিক স্যার (Parabolic Sar)
স্টচেষ্টিক্স (Stochastic)
ট্রেড ক্লোজ করার জন্যঃ
আর.এস.আই-RSI (Relative Strength Index)
এ.ডি.এক্স- ADX(Average Directional Moving Index)
মুভিং এভারেজঃ
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরিধিতে মার্কেটের এভারেজ পাইস ভেলু কি ছিল তা বোঝার জন্য মুভিং এভারেজ খুবই জনপ্রিয় এবং সচরাচর বেবহারিত একটি টুল। মুভিং এভারেজ সাধারনভাবে সম্ভব্য সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস এর এরিয়া এবং গতি পরিমাপক একটি টুল হিসেবে বেবহরিত হয় । এই টুলটিকে রলিং (Rolling) বা রানিং (Running) এভারেজ টুল ও বলা হয়ে থাকে এবং এই মুভিং আভারেজকে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নভিস থেকে শুরু করে প্রফেশনাল ট্রেডার সবাই মুভিং আভারেজ টুলটি ব্যাবহার করে। ফরেক্স মার্কেটে মোটামুটি ২ ধরণের মুভিং এভারেজ ট্রেডাররা বেশি ব্যাবহার করে থাকে।
১। SMA – সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average)
২। EMA – এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average)
সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average):
এই ইন্ডিকেটরটি দিয়ে পিরিয়ড এবং প্রাইস এর ভিত্তিতে একটি গাণিতিক হিসাব এর মাধ্যমে আপনি ট্রেন্ড ডিরেকশন সহ বায় এবং সেল সংকেত বা সিগনাল দিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি কত দীর্ঘ মেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী ট্রেড করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কত সময়ের মুভিং এভারেজ পছন্দ করছেন। তবে অভিজ্ঞ ট্রেডাররা ৩টি সময়ের মুভিং এভারেজ এর উপর ট্রেড করে থাকে। সেগুলো হলঃ
স্বল্পমেয়াদী (Short term) – ১০ দিনের মুভিং এভারেজ
মধ্য মেয়াদী (Intermediate Term) – ৫০ দিনের মুভিং এভারেজ
দীর্ঘ মেয়াদী (Long Term) – ২০০ দিনের মুভিং এভারেজ

কিভাবে মুভিং এভারেজ বের করবেনঃ
SMA = Adding the closing price of a number of time periods / number of periods
উদহারন ১# ৫ দিনের মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২১৬৬, ১.২৩৪১, ১.২৩৯৮, ১.২৩৬৪, ১.২৩০৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ ;
১.২১৬৬ + ১.২৩৪১ + ১.২৩৯৮+ ১.২৩৬৪,+ ১.২৩০৫ / ৫ = ১.২৩১৪
উদহারন ২# ১০ ঘন্টার মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ;
১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ / ১০ = ১.২২৮২
কিভাবে ট্রেড করবেনঃ মুভিং এভারেজ প্রাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর উপরে হয় তাহলে বায় ট্রেড করবেন। এবং পাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর নিচে হয় তাহলে সেল ট্রেড করবেন।
এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average):
সিম্পল মুভিং এভারেজ এর মত এই প্রকার মুভিং এভারেজ ও মার্কেট ডিরেকশন দেয় তবে পার্থক্য এটাই যে এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে তুলনামুলক পূর্ব পিরিয়ড প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট পিরিয়ড প্রাইস কে অধিক গুরুত্তের সাথে দেখা হয় । বিষয়টি আরো পরিষ্কার করছি...... মনে করুন, আপনি ৫ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ বের করবেন,
প্রথম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২১৬৬,
দ্বিতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৪১,
তৃতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৯৮,
চতুর্থ দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৬৪,
পঞ্চম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩০৫
তাহলে ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইস কে ৫ দিয়ে ভাগ করলে সিম্পল মুভিং এভারেজ বের হবে যা আমরা পূর্বে শিখেছি। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন যে ১ম দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর সাথে ২য় দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর একটা বড় ডিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে যা পরবর্তী ৩দিনের এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ স্বাভাবিক নয়। কারন ঐ দিন (২য় দিন) ভালো ইকোনমিক নিউজ এর কারনে প্রাইস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মধ্যে পড়ে না। সিম্পল মুভিং এভারেজে নির্দিষ্ট কোন দিনকে অধিক কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। আর এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজের পার্থক্যটা এখানেই। এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে প্রথম দুদিনের প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট অর্থাৎ লাস্ট ৩দিনের প্রাইসকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মুভিং এভারেজ বের করা হয়।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরিধিতে মার্কেটের এভারেজ পাইস ভেলু কি ছিল তা বোঝার জন্য মুভিং এভারেজ খুবই জনপ্রিয় এবং সচরাচর বেবহারিত একটি টুল। মুভিং এভারেজ সাধারনভাবে সম্ভব্য সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস এর এরিয়া এবং গতি পরিমাপক একটি টুল হিসেবে বেবহরিত হয় । এই টুলটিকে রলিং (Rolling) বা রানিং (Running) এভারেজ টুল ও বলা হয়ে থাকে এবং এই মুভিং আভারেজকে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নভিস থেকে শুরু করে প্রফেশনাল ট্রেডার সবাই মুভিং আভারেজ টুলটি ব্যাবহার করে। ফরেক্স মার্কেটে মোটামুটি ২ ধরণের মুভিং এভারেজ ট্রেডাররা বেশি ব্যাবহার করে থাকে।
১। SMA – সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average)
২। EMA – এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average)
সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average):
এই ইন্ডিকেটরটি দিয়ে পিরিয়ড এবং প্রাইস এর ভিত্তিতে একটি গাণিতিক হিসাব এর মাধ্যমে আপনি ট্রেন্ড ডিরেকশন সহ বায় এবং সেল সংকেত বা সিগনাল দিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি কত দীর্ঘ মেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী ট্রেড করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কত সময়ের মুভিং এভারেজ পছন্দ করছেন। তবে অভিজ্ঞ ট্রেডাররা ৩টি সময়ের মুভিং এভারেজ এর উপর ট্রেড করে থাকে। সেগুলো হলঃ
স্বল্পমেয়াদী (Short term) – ১০ দিনের মুভিং এভারেজ
মধ্য মেয়াদী (Intermediate Term) – ৫০ দিনের মুভিং এভারেজ
দীর্ঘ মেয়াদী (Long Term) – ২০০ দিনের মুভিং এভারেজ
কিভাবে মুভিং এভারেজ বের করবেনঃ
SMA = Adding the closing price of a number of time periods / number of periods
উদহারন ১# ৫ দিনের মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২১৬৬, ১.২৩৪১, ১.২৩৯৮, ১.২৩৬৪, ১.২৩০৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ ;
১.২১৬৬ + ১.২৩৪১ + ১.২৩৯৮+ ১.২৩৬৪,+ ১.২৩০৫ / ৫ = ১.২৩১৪
উদহারন ২# ১০ ঘন্টার মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ;
১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ / ১০ = ১.২২৮২
কিভাবে ট্রেড করবেনঃ মুভিং এভারেজ প্রাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর উপরে হয় তাহলে বায় ট্রেড করবেন। এবং পাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর নিচে হয় তাহলে সেল ট্রেড করবেন।
এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average):
সিম্পল মুভিং এভারেজ এর মত এই প্রকার মুভিং এভারেজ ও মার্কেট ডিরেকশন দেয় তবে পার্থক্য এটাই যে এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে তুলনামুলক পূর্ব পিরিয়ড প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট পিরিয়ড প্রাইস কে অধিক গুরুত্তের সাথে দেখা হয় । বিষয়টি আরো পরিষ্কার করছি...... মনে করুন, আপনি ৫ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ বের করবেন,
প্রথম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২১৬৬,
দ্বিতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৪১,
তৃতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৯৮,
চতুর্থ দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৬৪,
পঞ্চম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩০৫
তাহলে ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইস কে ৫ দিয়ে ভাগ করলে সিম্পল মুভিং এভারেজ বের হবে যা আমরা পূর্বে শিখেছি। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন যে ১ম দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর সাথে ২য় দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর একটা বড় ডিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে যা পরবর্তী ৩দিনের এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ স্বাভাবিক নয়। কারন ঐ দিন (২য় দিন) ভালো ইকোনমিক নিউজ এর কারনে প্রাইস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মধ্যে পড়ে না। সিম্পল মুভিং এভারেজে নির্দিষ্ট কোন দিনকে অধিক কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। আর এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজের পার্থক্যটা এখানেই। এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে প্রথম দুদিনের প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট অর্থাৎ লাস্ট ৩দিনের প্রাইসকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মুভিং এভারেজ বের করা হয়।
Bollinger Bands বলিঙ্গার বেন্ডঃ
মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।
Bollinger Bounce বলিঙ্গার বেন্ড বাউন্সঃ
Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?
এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির মাঝখানে চলে এসেছে।
আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড ২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল কাজ করে।
Bollinger Squeeze বলিঙ্গার বেন্ড স্কুয়িজঃ
যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে।
যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।
আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।
পেরাবলিক স্যার (Parabolic Sar)
অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।
Parabolic SAR (Stop And Reversal) ইন্ডিকেটরটি ট্রেন্ড কখন শেষ হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা পেতে আমাদের সাহায্য করে। Parabolic Sar চার্টে ডট অথবা পয়েন্টের সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ
Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।
ট্রেন্ডিং মার্কেটে এই ইন্ডিকেটরটি অনেক ভাল কাজ করবে। কিন্তু মার্কেট যখন সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে, তখন আপনি ভাল ফল পাবেন না।
কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।
৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন করতে পারেন।
কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ
Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।
কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।
স্টচেষ্টিক্স (Stochastic)
Stochastic হল আরেকটি ইন্ডিকেটর যা আমাদের কখন ট্রেন্ডের সমাপ্তি হতে পারে তা নির্দেশ করে।Stochastic মার্কেট overbought না oversold তা নির্দেশ করে।
Stochastic আমাদের বলে দেয় কখন মার্কেট overbought এবং কখন মার্কেট oversold.
Stochastic এ ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেল আছে। যখন Stochastic লাইন ৮০'র ওপরে থাকে (অর্থাৎ লাল ডট ডট লাইনের ওপরে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন overbought. আর যখন Stochastic লাইন ২০'র নিচে থাকে (অর্থাৎ নীল ডট ডট লাইনের নিচে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন oversold.
আর আমরা জানি যে মার্কেট যখন oversold থাকে তখন আমরা বাই করি, এবং মার্কেট যখন overbought থাকে তখন আমরা সেল করি।
Stochastic ইন্ডিকেটরের বেসিক কার্যপ্রণালী এটাই। অনেক ট্রেডার Stochastic কে অন্যভাবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু মার্কেটের overbought অথবা oversold অবস্থা বোঝাতেই Stochastic ইন্ডিকেটরটি মূলত ব্যবহৃত হয়।
আর.এস.আই-RSI (Relative Strength Index)
এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস ওভারবট এবং ওভারসল্ড অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বায় এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।
স্কেল লেভেল অনুসারে সিগনালঃ
- ৫০ স্কেল লেভেলের উপরে – মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
- ৫০ স্কেল লেভেলের নিচে – মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
- ৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে - মার্কেটে অতিরক্ত বায় হয়েছে।
- ৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে - মার্কেটে অতিরক্ত সেল হয়েছে।
বায় ট্রেডঃ যখন RSI ওভারসল্ড লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বায় অর্ডার করতে পারেন।
সেল ট্রেডঃ যখন RSI ওভারবট লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন।
RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ RSI যেমন খুব ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভালো একটি ইন্ডিকেটর ও ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগনাল দিবে। লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত উপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে, আপনি যখন বায় ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই খেত্রেও আর বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন।
বাউন্স ট্রেডিং আর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার বায় ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল।
এছাড়া RSI দিয়ে Divergence এবং Swing ট্রেড সহ অনেক স্ট্রেটিজিকেল ট্রেড করা যায়।
এ.ডি.এক্স- ADX(Average Directional Moving Index)
এই ইন্ডিকেটর দিয়ে একটি ট্রেন্ডের Strength (শক্তি) নির্ধারণ করতে পারবেন যে ট্রেন্ডটি কত শক্তিশালী বা কত দুর্বল। এই ক্ষেত্রে হাই রিডিং (High Reading) ট্রেন্ড একটি শক্তিশালী এবং লো রিডিং (Low Reading) ট্রেন্ড একটি দুর্বল ট্রেন্ডের ইঙ্গিত করে। এই ইন্ডিকেটরটি একটি এভারেজ ডিরেকশনাল লাইন সহ একটি প্লাস (+) ডিরেকশন এবং একটি মাইনাস (-) ডিরেকশন লাইনে তিনটি লেভেলের মাধ্যমে ট্রেডিং সিগনাল প্রদান করে।
লাইন পরিচিতিঃ
ADX লাইন = Generally White
+DI লাইন = Green
-DI লাইন = Red
লেভেল অনুসারে ADX ট্রেডিং সিগনালঃ
ü ADX লাইন ০-২৫ লেভেলের নিচে অবস্থান করলে – বর্তমান ট্রেন্ডটি খুবই দুর্বল বা ট্রেন্ড নাই।
ü ADX লাইন ২৫-৫০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে - বর্তমান ট্রেন্ডটি শক্তিশালী।
ü ADX লাইন ৫০-৭৫ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে – ট্রেন্ড খুব শক্তিশালী।
ü ADX লাইন ৭৫-১০০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে – ট্রেন্ড সর্বোচ্চপরিমাণে।
ü +DI লাইন যদি –DI লাইন এর উপরে থাকে – আপট্রেন্ড পজিশন।
ü -DI লাইন যদি +DI লাইন এর উপরে থাকে - ডাউনট্রেন্ড পজিশন।
আর যখন দুটি DI লাইন ক্রসিং হয় তখন ট্রেন্ড চেঞ্জ হচ্চে বুঝতে হবে এবং তারপরেই নিশ্চিত হতে পারবেন যে পরবর্তী ট্রেন্ডটি কি হবে।
উপরের চিত্রমতে, -DI লাইন +DI লাইনকে ক্রস করে উপরে উঠছে যা ডাউনট্রেন্ড সিগনাল দিচ্ছে কিন্তু অন্যদিকে ADX লাইন ২০ লেভেলের নিচে চলে যাচ্ছে অর্থাৎ ট্রেন্ড সেল হলেও তা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তাই এই অবস্থায় ট্রেড না করে ADX ভেলু ২০ লেভেলের উপরে উঠার জন্য অপেক্ষা করুন।
কখন ট্রেড করবেনঃ ADX -/+ লাইনের স্থান নির্ণয় এর মাধ্যমেই আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে হবে। যখন ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করে এবং +DI লাইন –DI লাইন এর উপরে থাকে তখন বায় ট্রেড করবেন। বিপরীতভাবে ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করলে –DI লাইন যখন +DI লাইন এর উপরে থাকবে তখন সেল ট্রেড করবেন।


